ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম
ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম
আন্তর্জাতিক
পরিচিতি সম্পন্ন ও বাংলাদেশের মেডিকেল পাবলিকেসন্স জগতের অন্যতম লক্ষত্র ও পথিকৃত এবং মেডিকেল দ্বিভাষিক (বাংলা-ইংরেজি) পুস্তকের জনক ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম (Dr. MAAQ) ১৯৮১ সালের ৯ই এপ্রিল শেরপুর জেলায় জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা মোঃ সামেদুল ইসলাম ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মাতা রায়হানা সিদ্দিকা ছিলেন একজন গৃহিনী। তার পৈত্রিক ভিটা শেরপুর সদর থানার চরশেরপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে।
ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম শৈশবকাল থেকেই ছিলেন মেধাবী। পিতার বদলীর চাকুরীর দরুন কিছুদিন পরপর বিদ্যালয় পরিবর্তন সত্বেও তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বৃত্তি লাভ করেন। তিনি কৃতিত্বের সাথে ১৯৯৬ সালে শেরপুর সরকারী ভিক্টোরিয়া একাডেমী থেকে এস.এস.সি এবং ১৯৯৮ সালে শেরপুর সরকারী কলেজ হতে এইচ.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এমবিবিএস সমমানের হোমিওপ্যাথি কোর্স- ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী (বি.এইচ.এম.এস) সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশের একমাত্র সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে ভর্তি হোন। সেখান থেকে ২০০৬ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি অ্যালোপ্যাথিক মেডিসিনের উপর ডিপ্লোমা এবং ভারত হতে এই.ই.সি সনদ লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ইন্টিগ্রেটেড মেডিসিন, ন্যাচারাল মেডিসিন, খাদ্য ও পুষ্টি, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, প্যাথলজি, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, স্ত্রীরোগ ও বন্ধ্যাত্ব, এজমা ও বক্ষব্যাধি, চর্ম ও যৌন রোগ, স্নায়ুরোগ, মানসিক রোগ, টিউমার ও ক্যান্সার ইত্যাদি চিকিৎসা স্বাস্ত্রীয় বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন।
পেশাগত জীবনে প্রথমে তিনি গনস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করে। পাশাপাশি তিনি মেডিকেল ইন্সটিটিউটে অধ্যাপনাও শুরু করেন। সর্বশেষ তিনি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় স্বেচ্ছাঅবসর গ্রহন করেন।
চিকিৎসা সেবা প্রদান ও অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি মেডিকেল পুস্তক রচনায় মনোনিবেশ করেন। তিনি বিশ্বের একটি নতুন মেডিকেল পুস্তক রচনা পদ্ধতি ’ইংরেজী-বাংলা দ্বিভাষিক পুস্তক’ প্রণয়ন করেন। অধ্যবধি তার ১২০ টি মেডিকেল পুস্তক প্রকাশিত হয়েছে। যাদের মধ্যে কয়েকটি ভারতেও পঠিত হয়ে থাকে। তিনি এনাটমি, ফিজিওলজি, প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ফার্মাকোলজি, মেডিসিন, সার্জারী, চর্ম ও যৌণরোগ, নাক-কান-গলা, শিশু রোগ, গাইনি-অবস, পল্লী চিকিৎসক প্রশিক্ষণ, ফার্স্ট এইড সহ বিভিন্ন মেডিকেল কোর্সের বিভিন্ন বিষয়ের মেডিকেল পুস্তক ইংরেজী, দ্বিভাষিক ও বাংলা ভাষায় রচনা করেছেন।
বর্তমানে তিনি নিজ জেলা শেরপুরে পুস্তক রচনা, স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।